দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সুইটি আক্তার শিনুকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। ঢাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার এক তরুণ রিকশা চালককে প্রকাশ্যে মারধর করতে দেখা যায়। ঘটনার পরই ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় বয়ে যায়। এ কারণেই তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
ভিডিওতে দেখা যায় এক নারী, এক তরুণ রিকশাচালকের ওপর চড়াও হয়েছেন। তিনি নিজেই ওই রিকশার যাত্রী ছিলেন। দ্রুত রিকশা না চালানোর কারণে তিনি চটে যান। ভিডিওতে রিকশাচালকের ওপর মারমুখী অবস্থায় দেখা যায় তাকে। এক পর্যায়ে প্রকাশ্য দিবালোকে সবার সামনে রিকশা থেকে নেমে চালকের গায়ে হাতও তোলেন তিনি। আবারো রিকশা উঠে হাতের ব্যাগ দিয়ে চালককে মারতে উদ্যত হন। ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে লাথি ছুঁড়তেও দেখা যায়। পরে তার পরিচয় পাওয়া যায়।
এদিকে, সুইটি আক্তার শিনুকে বহিষ্কারের বিষয়ে সভাপতি কাজী আব্দুল হারুন বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছিল। দলীয় কর্মকাণ্ডে তার আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ করছিল দলকে। আমরা তাকে এর আগে বারবার সতর্ক করেছি কিন্তু তিনি সংশোধন হননি। বরঞ্চ একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েই যাচ্ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিল। যার ফলে নির্বাহী কমিটির বৈঠকে তাকে দলের সমস্ত কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর তাকে মহিলা সম্পাদিকা ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।’
No comments:
Post a Comment