

রিমনের শরীরে ৪০১ সেলাই
নিজস্ব প্রতিবেদকপূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৎস্যজীবী রিমন শেখকে (৩০) নির্মমভাবে কোপায় প্রতিপক্ষরা। হাসপাতালে নেওয়ার পর রিমনের শরীরে পড়েছে ৪০১টি সেলাই। অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন তিনি।
রিমনের বাড়ি রাজশাহীর কাটাখালী থানার চরখানপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সাবান আলী। গত ২২ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার নিমতলা এলাকায় তার ওপর হামলা করা হয়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে রিমনের শরীর।
ঘটনার পর স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রিমনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা দেখেন, রিমনের শরীরের বেশ কয়েকটি রগ কেটে গেছে। তাই তাকে দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পরিবারের সদস্যরা তাকে সেই দিনই ঢাকার শ্যামলী এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রিমনের সারাশরীরে ৪০১টি সেলাই দেওয়া হয়। চারদিন চিকিৎসার পর স্বজনরা তাকে ঢাকা থেকে আবারও রামেক হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করেন। এখন রিমন হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শঙ্কা কেটে গেলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে রিমনের। চিকিৎসায় খরচও হবে অনেক টাকা।
রিমনের স্বজনরা জানান, ঢাকায় চারদিন চিকিৎসায় খরচ হয়েছে তিন লাখ টাকা। ধার-দেনা করে রিমনের চিকিৎসা করা হয়েছে। রিমনের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হলেও আসামিরা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার দিনই রিমনের স্ত্রী বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পাঁচ দিন পার হলেও আসামিরা ধরা পড়েনি।
পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, রাজশাহী নগরীর নিমতলা এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে রিমনের বিরোধ ছিলো। এর জের ধরে এলাকায় পেয়ে দিপলুর ওপর হামলা চালানো হয়। নির্মমভাবে কুপিয়ে রিমনকে মৃত ভেবে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রিমনকে কোপানো হয়। ঘটনার পর থেকে আসামিরা সবাই পলাতক। তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তানজিমুল/বকুল

No comments:
Post a Comment