
করোনাভাইরাসের লকডাউনের সময়টা খানিক উপভোগ্য করতে শনিবার রাতে ইন্সটাগ্রাম লাইভে এসেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই তারকা মুশফিকুর রহীম ও তামিম ইকবাল। সেখানে নিজেদের খেলোয়াড়ি জীবনের অনেক বিশেষ ঘটনা নিয়েই আলোচনা করেছেন দুজন।
আড্ডার শুরুতেই তামিম বলে দেন, মিডিয়ার সামনে আমরা অনেক সময় অনেক কথা বলতে পারি না। ড্রেসিংরুমে আমাদের মজার সময়গুলো ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না। তাই ভাবলাম বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে একটু বিনোদন দেয়ার জন্য কিছু একটা করা যাক। তাই এই লাইভের আয়োজন।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার লাইভ সেশনে অনেক প্রসঙ্গেই কথা বলেছেন তামিম ও মুশফিক। সবগুলোই বন্ধুস্থানীয় পর্যায়ের আড্ডা, যেখানে ছিল না কোন প্রথা মানার আদিখ্যেতা। নিজেদের মতো প্রাণ খুলে কথা বলেছেন এ দুজন।
কথাপ্রসঙ্গে আসে ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের কথা। তখন মুশফিক বিস্ময় প্রকাশ করেন, কীভাবে এক হাতে ব্যাট করতে নেমে পড়েছিলেন তামিম। তাও মাত্রই হাসপাতাল থেকে ফেরার পর। তামিম জানান, ক্ষণিকের উত্তেজনায়ই নেয়া হয় সেই সিদ্ধান্ত।
তবে একইসঙ্গে তামিম মনে করিয়ে দেন, সেদিন পাজরের ব্যথা নিয়েই পুরো ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। প্রায় তিন ঘণ্টার বেশি সময় ব্যাটিং করে মুশফিক একাই করেন ১৪৪ রান। পাজরের ব্যথা থাকার পরেও দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেয়ার কৃতিত্ব পুরোটাই ছিল এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের।
কীভাবে সম্ভব হলো এটি? এর পেছনে রহস্যই বা কী ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে গতানুগতিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছিলেন মুশফিক। তবে তামিম হাসতে হাসতে বলেন, ‘সেদিন তোর এত ভালো খেলার রহস্য কী ছিল? সেদিন বাংলাদেশ খেলছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, আর মুশফিক খেলছিল (চন্ডিকা) হাথুরুসিংহের!’ তামিমের কথা শেষ হতে না হতেই মুশফিক হাসিমুখে মৃদু প্রতিবাদে বলেন, ‘না না, ওরকম কিছু না...।’
তবে সঙ্গে সঙ্গেই আবার মজাটাকে এক পাশে রেখে বাস্তবতাও উল্লেখ করেন তামিম, ‘আসলে আমরা সবাই ভালো করতে চেয়েছিলাম সেদিন। সবার মধ্যেই একটা কিছু কাজ করছিল। সেটা খারাপ কিছু নয়। আমরা সবাই চাচ্ছিলাম জিততে। হাথুরুসিংহে আমাদের জন্য খুব ভালো কোচ ছিলেন।’
তখন মুশফিকও জানান কী করে সম্ভব হলো, পাজরের ব্যথাকে ছাপিয়ে বিশ্বাসের জয় ছিনিয়ে নেয়া। তিনি বলেন, ‘(ম্যাচের আগেরদিন) ফিজিওর সঙ্গে স্ক্যান করতে যাওয়ার সময়ই আমি বুঝে গেছি, ফ্র্যাকচার আছে। পরে রিপোর্টে সেটিই ধরা পড়ল। আমি ভেবেছিলাম, খেলা হবে না। ম্যাচের আগের রাতে ডিনার করছিলাম মাশরাফি ভাই, রিয়াদ ভাইদের সঙ্গে। তখনই মনে হলো, কালকের ম্যাচটা খেলা জরুরি। ব্যথা যতই থাকুক, খেলে ফেলব।’
এসএএস/পিআর
No comments:
Post a Comment