

মাস্ক পরতে বলায় নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে হত্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্কমিশিগানে এক ক্রেতাকে মাস্ক পরতে বলার জেরে এক নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে একই পরিবারের তিনজনের বিরুদ্ধে। সোমবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কথা জানান বলে খবর যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের।
৪৩ বছর বয়সী ক্যালভিন মুনেরলিন মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শুক্রবার ফ্লিন্ট হাসপাতালে মারা যান বলেছেন মিশিগান পুলিশ লেফটেন্যান্ট ডেভিড কায়সার। অভিযুক্তরা হলেন ২৩ বছরের রামোনেয়া ট্র্যাভন বিশপ, ৪৪ বছরের ল্যারি এডওয়ার্ড টিগে ও ৪৫ বছরের শারমেল ল্যাশে টিগে। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, শারমেল ও ল্যারি বিবাহিত এবং বিশপ শারমেলের ছেলে।
করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যটিতে সব ধরনের দোকান কর্মী ও ক্রেতাদের মাস্ক পরতে নির্বাহী আদেশ দিয়েছে সরকার। ফ্যামিলি ডলার স্টোরে শারমেলের মেয়েকে মাস্ক পরতে বলেছিলেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। তাতে শারমেল তার সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। মেয়ে দোকান থেকে চলে গেলেও চিৎকার করতে থাকেন শারমেল। মুনেরলিন তাকেও দোকান থেকে চলে যেতে বলেন এবং ক্যাশিয়ারকে বলেন যেন তার কাছে কিছু বিক্রি না করে। সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে এ কথা বলেন গিনিজ কাউন্টি প্রসিকিউটর ডেভিড লেইটন।
ফুটেজে দেখা গেছে, তর্কাতর্কির কিছুক্ষণ পর ওই নারী দোকান থেকে চলে যান। ২০ মিনিট পর ফিরে আসেন বিশপ ও ল্যারিকে নিয়ে। তাদের একজন মুনেরলিনের সঙ্গে চিৎকার করতে থাকেন। আরেকজন, বিশপ ওই নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করেন।
মুনেরলিনের কাজিন টিনা জেমস বলেছেন, ‘এটা কান্ডজ্ঞানহীণ। শুধু একটা মাস্কের জন্য। কেবল মাস্কের জন্য? এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
ল্যারি ও বিশপকে খুঁজছে পুলিশ। শারমেল হাজতে আছেন। হত্যার পাশাপাশি গোপনে অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে বিশপের বিরুদ্ধে।
করোনার কারণে লকডাউন চলছে মিশিগানে। যদিও বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। করোনাভাইরাসকে তারা যে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না কিংবা সরকারের নির্দেশ পালন করছে না তার প্রমাণ এই হত্যাকান্ড।
ঢাকা/ফাহিম
No comments:
Post a Comment