

টেকনাফে পাতাখেকো পোকা দমন করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদককক্সবাজারের টেকনাফে পাতাখেকো পোকা পঙ্গপাল নয়, এটি ঘাসফড়িংয়ের একটি প্রজাতি। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই । ইতোমধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করে দমন করা হয়েছে।
রোববার (৩ মে) পোকা দমনের কথা জানিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন গবেষক দল।
তারা জানান, ইতোমধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করা হয়েছে।
গবেষকদলের পঙ্গপাল সদৃশ্য পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কয়েকটি সুপারিশ করেছে।
এগুলো হলো- ফসল বা বাগান নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে এবং পোকার আক্রমণ দেখা গেলে দমনের ব্যবস্থাপনা নিতে হবে। এ পোকা মাটিতে ডিম পাড়ে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ এবং জমি উত্তমরূপে চাষ করলে ডিমগুলো ধ্বংস হবে। পোকা দেখা দিলে প্রয়োজনে হাত দিয়ে নিম্ফো ও পূর্ণাঙ্গ পোকা সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে।
স্পিনোসেড গ্রুপের জৈব বালাইনাশক (সাকসেস / ট্রেসার) নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। পোকার আক্রমণের মাত্রা তীব্র হলে রাসায়নিক কীটনাশক সাইপারমেগ্রিন ১০ ইসি কিংবা ল্যাম্বডা সাইহ্যালালোথ্রিন ২.৫ ইসি প্রয়োগে এ পোকা দমন করা যায়।
গবেষকদলে ছিলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নাজমুল বারী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীট তত্ত্ববিধ ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত, খামারবাড়ির উপ পরিচালক (সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা) রেজাউল ইসলাম।
এর আগে গত ১ এপ্রিল কক্সবাজারের টেকনাফে ঘাসফড়িং সদৃশ উড়ে আসা পোকা পঙ্গপাল কিনা এবং দমন করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি দল টেকনাফে যান।
ঢাকা/আসাদ/এসএম
No comments:
Post a Comment